সৈয়দুল কাদের, কক্সবাজার :: ভারী বৃষ্টিপাতে কক্সবাজারের অভ্যন্তরীণ সড়ক প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক হাটু পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া পাহাড় ধসের আশংকা করছে আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবীদ আবদুর রহমান জানিয়েছেন, আরো ৪/৫ দিন ভারি বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সর্বত্র সতর্ক করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঈদগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো জানিয়েছেন, পানি নিস্কাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকার পরও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অসংখ্য বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছি।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানিয়েছেন, সদর উপজেলা গেইটের সামনেসহ সর্বত্র হাটু পানিতে ডুবে গেছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিপাতে ভেঙ্গে পড়েছে জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। শহর থেকে গ্রাম সবখানেই একই অবস্থা বিরাজ করছে। অচল হয়ে পড়েছে সবকটি উপসড়ক। পৌরসভার নিচু এলাকা এখন পানির নিচে। এছাড়া সম্প্রতি নির্মিত একাধীক আধাপাকা রাস্তাও ভেঙ্গে পড়েছে।
টানা বৃষ্টিপাতে জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। কক্সবাজার শহরের বড় বাজার, রুমালিয়ার ছড়া, সমিতি পাড়ার অধিকাংশ সড়কে পানি থৈথৈ করছে। এছাড়া সড়কে আবর্জনার স্তুপ জমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সমিতি পাড়া ছাড়াও গাড়ির মাঠেও পানি জমে থাকায় হাটু পানি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বসবাসকারিদের। শহরের হোটেল-মোটেল জোনের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে কলাতলীর মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অন্যান্য সড়কের উপর কাঁদা মাটি জমে থাকায় সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না।
ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মোরশেদ আহমদ বাবু জানিয়েছেন, পানি নিস্কাসনের জন্য যথাযত ব্যবস্থা না থাকায় এবং যথা সময়ে কাজ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এরপরও যতটুকু সম্ভব মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রধান সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও অভ্যন্তরীণ সকল সড়ক প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এছাড়া পাহাড়ে ঝুকিপুর্ণভাবে বসবাসকারিদের সরে আসতে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় টানা বৃষ্টির কারণে রাস্তায় কাঁদা জমে যাওয়ায় প্রায় অচল হয়ে পড়েছে সমিতি পাড়া ও রুমালিয়ার ছড়া। সমিতি পাড়ার আবু তাহের জানিয়েছেন, রাস্তায় কাঁদা জমে যাওয়ায় গাড়ি চলতেও সমস্যা হচ্ছে। যার ফলে এই এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এছাড়া সমিতি পাড়া যাওয়ার একমাত্র রাস্তটিও প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, তেমন জলবদ্ধতা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
প্রকাশ:
২০১৯-০৭-০৭ ১৪:০২:৩৩
আপডেট:২০১৯-০৭-০৭ ১৪:০২:৩৩
- চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় চিংড়িঘের দখল নিয়ে দু-গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি মেম্বারসহ আহত ৪
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- চকরিয়ায় বাস চাপায় বৃদ্ধ নিহত
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণরর মামলার অন্যতম আসামি ফারুককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার, ৩ জন জেলহাজতে
- জমজম হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ডাক্তারের বক্তব্য
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- খুটাখালীতে শতাধিক পরিবারে শীতবস্ত্র বিতরণ
- সঙ্গী হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত চকরিয়ায়
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণরর মামলার অন্যতম আসামি ফারুককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- নাইক্ষ্যংছড়িতে হতদরিদ্রদের মাঝে বিজিবির শীতবস্ত্র বিতরণ
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- চকরিয়ায় রেল স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত করেছে দুবৃর্ত্তরা
পাঠকের মতামত: